16th Oct 2021
689 বার পড়া হয়েছে
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে স্কুল-কলেজে সশরীরে আংশিক পাঠদান কার্যক্রম চলছে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য স্কুল-কলেজে আপাতত ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান শুরু করা হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি এড়াতে আপাতত নতুন কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল হওয়ার পর কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মূল্যায়ন করতে বৃহস্পতিবার দুই মন্ত্রণালয়ের একটি রিভিও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপত্বিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ উভয় মন্ত্রালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দেড় বছর পর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান শুরু করা হয়। আর এ পাঠদান শুরুর পরে এ পর্যন্ত কী কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সংশ্লিষ্টরা তুলে ধরেন। মানিকগঞ্জ, বগুড়া, নারায়গঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় কোনো কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যাওয়ার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলার এক ছাত্রী মারা গেছেন। অন্যদের তেমন কোনো সমস্যা না হলেও কিছু কিছু স্থানে আতংক বিরাজ করছে। এ কারণে মফস্বল পর্যায়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তবে ঢাকা মহানগরের বিদ্যালয়গুলোতে সে তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বর্তমানে যেভাবে স্কুল-কলেজে পাঠদান চলছে সেভাবেই চালিয়ে নেওয়া হবে। নভেম্বর এসএসসি-সমমান ও ডিসেম্বরে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে নতুন করে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ ও ঝুঁকি তৈরি করা হবে না। এ দুই পরীক্ষা শেষ হলে আগামী বছরের শুরু থেকে ক্লাস পাঠদান স্বাভাবিক করা হবে। তবে সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আপনার পঠিত আর্টিক্যাল সম্পর্কে মন্তব্য করুন